
নূতনহাট সফিউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়-এর কার্যক্রমকে আরো যুগোপযোগী ও আধুনিক করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একটি আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন ওয়েবসাইট চালুকরণ তার একটি অংশ মাত্র। যার মাধ্যমে আমাদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন তথ্য ও ছবি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এবং প্রতিষ্ঠানের ছত্র-ছাত্রীরা ঘরে বসেই পরীক্ষার রুটিন, সিলেবাস, ভর্তি ফরম পাবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়নের রূপকল্প, সাংস্কৃতিক বিকাশ, প্রগতিশীল চিন্তা, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও নিরবিচ্ছিন্ন শান্তির মূল্যবোধকে ধারণ করে শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠান তার অব্যাহত অগ্রযাত্রা চলমান রেখেছে। আমার বিশ্বাস অতি শীঘ্রই এই প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলের একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। আমাদের এই স্বাপ্নিক যাত্রায় আমি সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, গুনীজণ ও নেতৃবর্গসহ সংশিষ্ট সকলের ঔকান্তিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
উত্তরবঙ্গের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নূতনহাট সফিউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়। অন্যতম শ্রেষ্ট বিদ্যাপিঠ নূতনহাট সফিউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬২ সালে স্থাপিত হয়। পঞ্চগড় জেলাধীন বোদা উপজেলার অন্তর্গত নূতনহাটে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। জ্ঞান পিপাসু, শিক্ষানুরাগী ও দানশীল ব্যক্তিবর্গ অত্র এলাকার জনগোষ্ঠীর কাছে শিক্ষার আলো জ্বালাবার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি গড়বার মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সাড়াও পাওয়া যায় ব্যাপক। একে একে অনেকেই এগিয়ে আসেন ভূমি ও অর্থ নিয়ে। গড়ে ওঠে শিক্ষার এক আলোকবর্তিকা।
শুরুতে ছোট হলেও, পরে বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী, শিক্ষাবিদ, প্রশাসক ও স্থানীয় জনগণের বিপুল উৎসাহে প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠেছে এক মহীরুহ। প্রথম থেকেই এই বিদ্যালয়ের সাফল্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে অনেকেই শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্সের অফিসার, নামকরা শিক্ষাবিদ হয়ে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন।
মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন হল শিক্ষা। শিক্ষার প্রথম এবং প্রধান কাজ হল পরিবেশের সাথে শিক্ষার্থীর সংগতি বিধান করা। শিক্ষা অর্জনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। তাই নূতনহাট সফিউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সে ভূমিকা নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে। উত্তরাঞ্চল তথা সমগ্র বাংলাদেশে যে কয়টি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, নূতনহাট সফিউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় নিঃসন্দেহে তাদের অন্যতম।